বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের কাঁচা ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ
- আপলোড সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:১৬:০৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:১৬:০৭ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
শান্তিগঞ্জে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর এবার প্রতিপক্ষের বোরো জমির কাঁচা ধান গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামের পূর্বপাশের ‘কাউয়াজুরি’ হাওর থেকে প্রতিপক্ষের কাঁচা ধান কেটে নেওয়া ও গরু দিয়ে খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার ও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঠাকুরভোগ গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূর মিয়া ও তার মামাতো ভাই সিলেট জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শিহাব খান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুফি মিয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদাল মিয়ার লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রামে শিরনির আয়োজন ও বাড়ির পাশের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র কর দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। এই ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেন দুইপক্ষের লোকজন।
সম্প্রতি প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে বিএনপি নেতা নূর মিয়া ও শিহাব খানের লোকজন প্রতিপক্ষ সুফি মিয়া ও আবদাল মিয়ার পক্ষের শিবলু মিয়ার দেড় বিঘা বোরো জমির কাঁচা ধান কেটে নিয়ে গেছে এবং গরু দিয়েও কিছু ধান খাওয়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিবলু মিয়ার পক্ষের লোক হাবিবুর রহমান জানান, গ্রেফতার ও প্রতিপক্ষের ভয়ে আমরা ঘরবাড়ি ছাড়া। আমি বর্তমানেও একটি প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছি, এই সুযোগে নুর মিয়া ও শিহাব খানের লোকেরা আমাদের বাড়িঘরে হামলা করছে। হাওর থেকে জমির কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পক্ষের শিবলু মিয়ার অনেক ধান গাছে কেটে নিয়ে গেছে। দিনে-দুপুরে জোরপূর্বক গরু দিয়ে জমির ধান নষ্ট করা হচ্ছে, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
এ ব্যাপারে অভিযোগ করে শিবলু মিয়া বলেন, আমাদের প্রায় দেড় কেয়ার জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে। প্রতিদিন গরুর দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। বাড়ি ঘরে লুটপাট করেছে নূর মিয়ার লোকজন। আমাদের কাছে সব কিছুর প্রমাণ আছে। আমরা এর বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূর মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
অপরদিকে, অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে ছাত্রদল নেতা শিহান খান বলেন, হাওরে কাঁচা ধান কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। হয়তো কারো গরু ধান খেয়েছে বা হাওরে ঘাস কাটতে যাওয়া লোকেরা ধান কেটে নিয়ে গেছে। আমাদের কেউ তাদের কাঁচা ধান কেটে আনেনি। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকরাম আলী বলেন, ঠাকুরভোগ গ্রামের মসজিদের টাকাসহ নানা বিষয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরে গেল মাসে মারামারি হয়েছে। দুইপক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন হাওর থেকে বোরো জমির কাঁচা ধান কেটে নেওয়ার বিষয়ে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ